তিনি বলেন, ‘প্রচার বিমুখ এই মানুষটির নেপথ্য ভূমিকায় বাংলাদেশ ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবেই নয় ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বশেষ সংস্করণ ৫জি প্রযুক্তি চালু করার প্রস্তুতিও আমরা সম্পন্ন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ পৃথিবীর চোখে এক অবাক বিস্ময়।’
মঙ্গলবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি আয়োজিত জুম আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী সাধারণের জন্য কম্পিউটার সহজলভ্য করতে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, কম্পিউটারের ওপর ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহারে সজীব ওয়াজেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এরই ফসল হিসেবে দেশে ডিজিটাল বিপ্লবের পথযাত্রা শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য গত দশ বছরে দেশে ডিজিটাল মহাসড়ক তৈরি হয়েছে। ৫জি সেবা চালু, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -২ উৎক্ষেপণের কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। এসব কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টা সজীব ওয়জেদ জয়ের দিকনির্দেশনার ফলে প্রযুক্তিগত অনেক চ্যালেঞ্জ অতি সহজে অতিক্রম করতে পেরেছি।’
করোনাকালে ডিজিটাল প্রযুক্তির যে সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছেন তা ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে তার নিরন্তর চিন্তাভাবনা বাস্তবায়নের সুফল বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
পরে মন্ত্রী ডিজিটাল প্লাটফর্মে গাজীপুরস্থ সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ কেন্দ্রে জন্মদিনের কেক কাটেন। বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্যাটেলাইট কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা, সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূকেন্দ্র গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।